এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

চিরকুট

 


"চিরকুট"


ছোট্ট একটা চিরকুট,

এই চিরকুটেই লিখে যাবো শুরু থেকে সমাপ্তি।

একেবারেই সংক্ষিপ্ত হবে সে লেখনী।

কতিপয় কিছু মুহূর্ত ছাড়া বিশেষ কিছু লেখার যায়গা হবেনা সে চিরকুটে।

একেকটা মুহূর্ত ঘিরে বুঝে নিতে হবে একেকটা উপন্যাস।

আর উপন্যাস গুলো লিখবে, যাকে নিয়ে লেখা চিরকুট টা সে।

কারন সে সংক্ষিপ্ত লেখনী অনুভব করার সাধ্য তার ছাড়া আর কারো নেই।

কোন ব্যাখ্যাও দিতে পারবেনা কেউ সেই সংক্ষিপ্ত লেখনীর।


কিন্তু কি অদ্ভুত লাগে ভাবতেই !

চিরকুট টা তো কখনো পৌঁছাবেই না তার হাতে।

লেখনী গুলো কি তাহলে বৃথা যাবে?

উপন্যাস কি কখনো রচিত হবে?

সম্ভব হবেনা মনে হয়,

কারন সে লেখনী বুঝার সাধ্য নেই যে অন্য কারো।

সবকিছু বৃথা, সব।


যদি কখনো পশ্চিমা কোন বাতাসে পৌছায় আমার চিরকুট,

চিনতে বাকি থাকবেনা কার এই লেখা আর কার জন্য লেখা।

হয়তো হলেও হতে পারে  তখন বিবেকের দহন।

দহনে নিঃশ্বসিত প্রাণে হয়তো হলেও হতে পারে আবেগের তাড়ন।

কিন্তু ব্যর্থতা থাকবে সে তাড়না জুড়ে।


কোন রঙিন খামে মোড়ানো থাকবেনা আমার চিরকুট।

কারন খামে মোড়ানো তো একটা বন্দী জীবন।

মুক্ত বাসাতে আমার চিরকুট ভেসে বেড়াবে।

নিবে মুক্ত বাতাসে স্বস্তির শ্বাস। 

আমার হৃদয়ের রক্ষ ক্ষরিয়ে লেখা সে চিরকুট।


✍️ লতিফুর রহমান পলাশ