১২ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে ‘সরকারি খাদ্যগুদামে ট্রাকসহ ৫৯১ বস্তা নষ্ট চাল জব্দ’ ও ১৩ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন সংস্করণে ‘নাটোরে খাদ্যগুদাম থেকে নিম্নমানের চাল জব্দ, তদন্ত কমিটি’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। এতে বোরো মৌসুমের চাল ক্রয় কর্মসূচিতে তিন চালকলের মালিকের নষ্ট চাল সরবরাহের ঘটনা উঠে আসে।
এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত সোমবার মামলা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন নাটোর সদর আমলি আদালতের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম গোলজার রহমান। আজ দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম নাটোর কোর্টের পরিদর্শক আমিনুর রহমানের মাধ্যমে মামলা গ্রহণ করার বিষয়টি লিখিতভাবে সদর আমলি আদালতকে জানান। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী সদর থানার পরিদর্শক আবদুল মতিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সরকারকে ভালো চাল সরবরাহের চুক্তি করে খাবার অনুপযোগী ভেজাল চাল মিশ্রিত করেছেন। এটা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অপরাধ। আদালতে এ অপরাধ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে।
উপজেলা খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা যায়, সরকারের বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানের অংশ হিসেবে সদরের কাফুরিয়া এলাকার মেসার্স আবদুর রহমান, দস্তানাবাদের মেসার্স তৈয়ব চাউলকল ও নলডাঙ্গার মাধনগরের মেসার্স আবদুল মান্নান বরাবর বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাদের পক্ষে ৫৯১ বস্তা চাল সরবরাহ করছিলেন বেলালুজ্জামান বেলু নামের এক চাল ব্যবসায়ী। তিনি নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ট্রাক থেকে নষ্ট চালের বস্তা গুদামে নামানোর সময় বিষয়টি এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নজরে আসে। খবর পেয়ে সাংবাদিকেরাও সেখানে উপস্থিত হন। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ খাতুন গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি নিকৃষ্ট মানের চাল সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে তাঁর নির্দেশে নষ্ট চালের ৫৯১ বস্তাসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। এ সময় ইউএনও বলেন, এসব চাল গবাদিপশুও খাবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন